JAFB | Journalist Alliance Foundation of Bangladesh
জাতীয় ফোকাস নিউজ

অসাধু কর্মকর্তাদের মাসোহারা দিয়েই গ্যাস ব্যবহার, বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ লাইন

Gas

নিউজ ডেস্ক:
গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো কোনোভাবেই অবৈধ গ্যাস ব্যবহার বন্ধ করতে পারছে না। অভিযোগ রয়েছে বিতরণ কোম্পানির এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসোহারা দিয়েই অবৈধ গ্যাস ব্যবহার চলছে। ফলে তা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। মূলত আবাসিকে বৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ না থাকায় অনেকেই গ্যাসের অবৈধ ব্যবহারের দিকে বেশি ঝুঁকছে। আর অবৈধ গ্যাস বিক্রির টাকা অসাধু চক্রের পকেটে গেলেও সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। জ্বালানি বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সূত্র মতে, ঢাকা এবং আশপাশের অঞ্চলে গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাসে প্রতিদিন ৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চুরি হচ্ছে। গত অর্থবছরে তিতাসে গড়ে ৫ দশমিক ৪৮ ভাগ সিস্টেম লস হয়েছে। প্রতিদিন তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানি দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। কিন্তু সেখান থেকে সিস্টেম লসের নামে ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও বিইআরসি তিতাসের সিস্টেম লস ২ ভাগ বেঁধে দিয়েছে। ওই হিসেবে তিতাসের দৈনিক ৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট সিস্টেম লস বৈধ হলেও দৈনিক আরো ৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চুরি যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, বিগত ২০১৪ সাল থেকে দেশে আবাসিক গ্যাস সংযোগ কার্যত বন্ধ রয়েছে। আর গত বছর থেকে সরকার আবাসিক সংযোগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তার আগে পেট্রোবাংলা ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সালের শেষেরদিকে আবার আবাসিক সংযোগ চালু করে। কিন্তু তৎকালীন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আবারো জ্বালানি বিভাগ থেকে অলিখিতভাবে বিতরণ কোম্পানিকে আবাসিকে নতুন আবেদন নিতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু কোন কোন বিতরণ কোম্পানি সরকারের লিখিত আদেশ না থাকায় আবেদনপত্র গ্রহণ করে একই সঙ্গে ডিমান্ড নোটও ইস্যু করে।

২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে নতুন গ্যাস সংযোগের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে যাচাই-বাছাই করেই গ্যাসের সংযোগ দেয়া হতো। আর ওই কমিটি তখন কেবলমাত্র শিল্প সংযোগ দিতো। তখনো অন্য সব সংযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। কিন্তু তারপর সব থেকে বেশি গ্যাস বিরতণ কোম্পানি তিতাসের সিস্টেম লস বাড়তে শুরু করে। সিস্টেম লসের ক্ষেত্রে যেটুকু কারিগরি লোকসান হয় তা ঠেকানো কঠিন। তবে এর বাইরে যেটুকু সিস্টেম লস তার পুরোটাই চুরি। আর এই চুরি যাওয়া গ্যাস কেউ না কেউ ব্যবহার করছে। যাদের সকলে অবৈধ গ্রাহক।

সূত্র আরো জানায়, সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগের এক বৈঠকে সব বিতরণ কোম্পানির মধ্যে কেবলমাত্র জালালাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানি বলেছে, তাদের এলাকায় কোনো অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারী নেই। আর অন্যসব কোম্পানি বলেছে, তারা অবৈধ গ্যাস সংযোগমুক্ত করার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তার অর্থই হচ্ছে সব কোম্পানিতেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে।

এদিকে জ্বালানি বিভাগের সাম্প্রতিক নির্দেশনায় বলা হয়, সব বিতরণ কোম্পানি অবৈধ গ্যাস সংযোগমুক্ত করার কার্যক্রম জোরদার করবে। এর আগে এলএনজি সরবরাহের আগে সব বিতরণ কোম্পানিকে বলা হয়েছিল অবৈধ সংযোগমুক্ত ঘোষণা করতে হবে। সরকার উচ্চমূল্যের এলএনজি আমদানি করছে। কিন্তু এখনো অবৈধ ব্যবহারের সুযোগ থেকে যাওয়ায় প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ গ্যাস চুরি হচ্ছে। আর ওই চুরি যাওয়া গ্যাসের দামও পেট্রোবাংলাকে পরিশোধ করতে হচ্ছে। তাতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।

এদিকে এ প্রসঙ্গে জ্বালানি বিভাগের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার জানান, সকলেই বুঝতে পারছে এখনো দেশে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ রয়েছে। এমন অবস্থায় কারো একার পক্ষে বা গুটিকয়েক লোকের পক্ষে অবৈধ সংযোগ রাতারাতি বন্ধ করে ফেলা সম্ভব নয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কি করা উচিত তা সরকারকে বিবেচনা করতে হবে। তবে কেউ যদি বৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ পায়, সে নিশ্চয়ই আর অবৈধভাবে ব্যবহার করবে না।

এই সংক্রান্ত আরও খবর

প্রবীণ সাংবাদিক শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুতে বাসাজ’র শোক

Shahadat Hossen

মাসে ১০ কোটি করে পদ্মার বকেয়া পরিশোধে রাজি বিমান

Shahadat Hossen

আফগানিস্তানফেরত ফখরুল হাল ধরেন হুজির, ছিল বড় হামলার পরিকল্পনা

Shahadat Hossen

হেযবুত তওহীদের নারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ-মিছিল

Shahadat Hossen

ট্রেনে কাটা পড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু

Shahadat Hossen

কুমিল্লায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজনের মৃত্যু

Shahadat Hossen