উলিপুরে আমন বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক
উলিপুর প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম উলিপুরে আষাঢ়ের ০৩ দিন পরে হলেও দেখা মিলেছে বৃষ্টিপাতের। উপজেলা জুড়ে দেখা দিয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি। এই বৃষ্টির পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ জুড়ে বর্ষা মৌসুমের রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরী ও বীজতলায় বীজ ধান রোপনে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন এই অঞ্চলের কৃষকরা।
জানা যায়, এই অঞ্চলে বোরো ধানের চাষের বাম্পার ফলন হয়। শুধু প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন ধানের চাষ করে থাকে। চলতি মৌসুমে সময়মত বৃষ্টিপাত হওয়ায় রোপা আমন ধান চাষে বেগ পেতে হয় নাই প্রান্তিক কৃষকদের । তবে উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তা নদী বেষ্টিত হওয়ায় প্রতিবছর নদ নদীর কাছাকাছি বীজতলা নষ্ট হয়ে যায় ।
সরেজমিনে গতকাল উপজেলার চাঁদনী বজরা , জাহাজের আলগা ,বেগমগঞ্জ সরকারপাড়া ,হাতিয়া ভবেশ বকশিপাড়া পাড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষের জন্য পূর্ব প্রস্ততি হিসেবে বীজতলা তৈরী ও বীজতলায় ধান রোপন করছেন কেউ বা ধান চাষের জমি প্রস্তুত করছেন।
এসময় শত ব্যস্ততা দেখেও কথা বলতে চাইলে উপজেলার ধান চাষী মোঃ আবুল হোসেন সরকার বলেন, প্রতিবছর এই সময় আমাদের ধানের চারা তৈরী হয়ে যায় এবং শ্রাবণ মাসের শেষার্ধে থেকে মাঠে মাঠে রোপা আমন ধান রোপন শুরু হয়। কিন্তু এই বছর ভারী বৃষ্টিপাত হয় হওয়ায় আমরা ধানের চারা তৈরি করতে পারি নাই। দেরিতে হলেও গতকাল একটু বৃষ্টি হওয়ায় আজ বীজতলায় ধানের চারা দিচ্ছি।
ধানচাষী আমিনুল ইসলাম বলেন, সেচ দিয়ে ধান চাষ অনেক খরচের বিষয়, আমাদের এই অঞ্চলের প্রায় কৃষকই বর্গা চাষী এদের নিজের জমি নেই, এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে অন্যের জমি লিজ নিয়ে চাষ করে থাকে। এমনিতেই যে টাকা খরচ করে ধানের চাষ করা হয় ধান বিক্রয় করে সে টাকা আয় হয় না।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিস জানান, প্রতিটি এলাকাতেই কৃষকরা বীজ তলা তৈরীর কাজ শুরু করেছেন। এবছর বৃষ্টিপাত সঠিক সময়ে হওয়ায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হবে ।