বজ্রশক্তি ডেস্ক:
দেশের অধিকাংশ কারাগারের নিরাপত্তাব্যবস্থা আধুনিকায়নের উদ্যোগে স্থবিরতা বিরাজ করছে। প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৬৮টি কারাগারের মধ্যে ৪০টির নিরাপত্তাব্যবস্থা আধুনিকায়নের কার্যক্রম শুরু হলেও এক মামলায় প্রকল্প কর্মকর্তাই জেলে রয়েছে। ফলে থমকে রয়েছে কারাগারগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা আধুনিকায়নের কার্যক্রম। কারণ প্রকল্প কর্মকর্তা জেলে থাকায় নতুন কাউকে ওই দায়িত্ব দেয়া হয়নি। যদিও এর আগেই ঢাকা, গাজীপুরের কাশিমপুর, চট্টগ্রাম জেলা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ কোনো কোনো কারাগারের নিরাপত্তাব্যবস্থা আধুনিকায়নে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
তবে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে কারা অধিদফতরের মধ্যে এমওইউ চুক্তি মোতাবেক ৮ হাজার ৩০০ কারাবন্দীকে প্যারালিগ্যাল সার্ভিস দেয়ার প্রকল্প, ৪০ কারাগারের নিরাপত্তাব্যবস্থা আধুনিকায়নসহ যে ৬টি সম্ভাব্য অর্জনের টার্গেট হাতে নেয়া হয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়ন অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারা অধিদফতর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের ৪০টি কারাগারের মধ্যে ঢাকা বিভাগের মধ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারসহ ৪টি কারাগার, চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারসহ কয়েকটি কারাগার এবং ময়মনসিংহ জেলা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ হাতে গোনা কয়েকটি কারাগারে নিরাপত্তাব্যবস্থা আধুনিকায়নের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ কারাগারে ৪৮টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। কারা আধুনিকায়নের মধ্যে সিসি ক্যামেরা ছাড়াও বডি স্ক্যানার, লাগেজ স্ক্যানার, জ্যামারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম রয়েছে।
সূত্র জানায়, দেশের ৬৮ কারাগারে ৪০ হাজার ৯৪৪ জন ধারণক্ষমতার মধ্যে বন্দী রয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার। অতিরিক্ত বন্দীদের চাপে কারা কর্মকর্তাদের প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কারাগারের নিরাপত্তাব্যবস্থা আধুনিকায়ন খুবই জরুরি। তবে কারা আধুনিকায়নের কিছু সংখ্যক কারাগারে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম লাগানো হয়েছে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এনায়েত উল্লাহ খান জানান, এ বছরে কারাগারের নিরাপত্তাব্যবস্থা আধুনিকায়নের কোনো কাজই হয়নি। কোনো অগ্রগতি নেই। এই প্রজেক্টের যিনি প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন, তিনি একটি মামলায় জেলে রয়েছেন। ওই তিনি জেলে থাকায় আর কোনো ডেভেলপমেন্ট হয়নি। পরে আর কাউকে দায়িত্বও দেয়া হয়নি।