JAFB | Journalist Alliance Foundation of Bangladesh
ফোকাস নিউজ রংপুর সারাদেশ

কুড়িগ্রামে বন্যা অপরিবর্তিত: পানিতে ডুবে তিনজনের মৃত্যু

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি সামান্য কমলেও ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘর-বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২ লক্ষাধিক বানভাসী মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

ত্রাণ স্বল্পতার কারণে চরম খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সঙ্কটে পড়েছে এসব বন্যা দুর্গত মানুষেরা। চারণভূমি তলিয়ে থাকায় তীব্র হয়ে উঠছে গবাদিপশুর খাদ্যের সঙ্কট।

এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে উলিপুরে দুই শিশু ও চিলমারীতে এক গ্রাম পুলিশসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে, শনিবার দুপুরে উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ও হাতিয়া ইউনিয়নে বন্যার পানিতে ডুবে ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের দুর্গম চরাঞ্চল সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চর বাগুয়া গ্রামের মোন্তাজুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ ইসলাম (৮) সবার অগোচরে বন্যার পানিতে পড়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়।

একইদিন দুপুরে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চিড়াখাওয়ার পাড় এলাকায় বাবু মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে মুন্নি খাতুন নামের দেড় বছরের এক শিশু বন্যা পানিতে ডুবে মারা গেছে। নিহত মুন্নি খাতুন উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের চর গোড়াইপিয়ার গ্রামের বকুল মিয়ার মেয়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে, চিলমারী উপজেলার থানার হাট ইউনিয়নে বন্যার পানিতে ডুবে এক গ্রাম পুলিশের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই গ্রাম পুলিশের নাম সুরুজ মিয়া (৫৫)। তিনি চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ি কিসামত গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বাড়ির সামনের বিলে বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকা পাটের জাগ খুঁজতে গিয়ে সে ডুবে মারা যায়। মৃত সুরুজ মিয়া চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত ছিল।

চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, গত ২০ জুন থেকে এ পর্যন্ত কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩ জনই শিশু।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, এ পর্যন্ত কুড়িগ্রামের বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১৭০ মেট্রিক টন চাল, জিআর ক্যাশ ৯ লাখ টাকা, ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এগুলো বিতরণ করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমার সাথে সাথে রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙন তীব্র হয়ে উঠছে।

এই সংক্রান্ত আরও খবর

প্রবীণ সাংবাদিক শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুতে বাসাজ’র শোক

Shahadat Hossen

মাসে ১০ কোটি করে পদ্মার বকেয়া পরিশোধে রাজি বিমান

Shahadat Hossen

আফগানিস্তানফেরত ফখরুল হাল ধরেন হুজির, ছিল বড় হামলার পরিকল্পনা

Shahadat Hossen

২৩ কেজি ওজনের এক মাছের দাম ৮ লাখ টাকা!

Shahadat Hossen

ট্রেনে কাটা পড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু

Shahadat Hossen

কুমিল্লায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজনের মৃত্যু

Shahadat Hossen

Leave a Comment