নিউজ ডেস্ক:
চলমান বন্যায় পানিতে ডুবে ও নানা কারণে ১৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩০ জুন থেকে ৬ অগাস্ট পর্যন্ত পানিতে ডুবে, ডায়রিয়ায়, সাপের কামড়ে ও বজ্রপাতে তারা মারা গেছেন। এর মধ্যে পানিতে ডুবে ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে মারা গেছে ১৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জে ১৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে। শুক্রবার (৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেল্থ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সেন্টারের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার গণমাধ্যমকে জানান, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ডায়রিয়া, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, শ্বাসনালীর প্রদাহসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৭৭৩ জন। এরমধ্যে ১০ হাজার ২২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুইয়া জানান, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকায় পানি কমার হার অব্যাহত রয়েছে। গঙ্গা-পদ্মায়ও আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি কমতে পারে।
বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদীর ১০১টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে পানি কমেছে ৬৩টি পয়েন্টে। বেড়েছে ৩৪টি পয়েন্টে। ১৪টি নদীর ২০টি স্টেশনে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে আগস্টের শেষে দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বাভাসে আরেকটি বন্যার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উন্নতি হয়ে মাসের মধ্যভাগে স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। মাসের শেষার্ধে মৌসুমী ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা সিটি করপোরেশন সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে। ঢাকার জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি আরো সাতদিন দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।