মো. রফিকুল ইসলাম:
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সবুজবাগ থানায় যে ক’জন ছাত্র রাজনীতে রয়েছেন তাদের প্রায় সবার পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করছেন মেধাবী ছাত্রনেতা মো. মেহেদী হাসান শাকিল। তার যাদুকরী নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই শত শত কর্মীর মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
জানা যায়, তিনি ২০০৮ সালে ক্লাস নাইনে পড়া অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতে সক্রিয় হন। এরপর থেকে এই পরিশ্রমী নেতা ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক গ্রেফতার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সবুজবাগ থানা ছাত্রলীগকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সবুজবাগের ছাত্রলীগ কর্মীরা জানান, “২০০৮, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে স্থানীয় রাজনীতির মাঠ চষেছেন। ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের দেশব্যাপী তাণ্ডব ও অরাজকতার বিরুদ্ধে সবুজবাগে তিনি ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে রাজপথে অবস্থান নিয়েছিলেন। সেই সময়ে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের ফাসির দাবীতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে ছাত্রলীগ এর প্রতিনিধি হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।”
২০১৫ সালে তিতুমীর সরকারী কলেজের বিবিএ ২য় বর্ষের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় এই মেধাবী ছাত্রলীগ নেতা মালোয়শিয়ার লিনকন ইউনিভারসিটি কলেজ থেকে স্কলারশিপ প্রাপ্ত হয়ে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে মালোয়শিয়া চলে যান। সেখানে থেকেই তিনি তার রেখে যাওয়া শত শত ছাত্রলীগ কর্মীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে বিভিন্ন সময়ে আর্থিক সহায়তা করেছেন।
২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচন চলাকালীন সময়ে বিদেশে থাকার কারণে ঢাকা-৯ আসন থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বার বার নির্বাচিত জননেতা জনাব সাবের হোসেন চৌধুরীর পক্ষে তরুণ সমাজকে অনুপ্রাণিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বেছে নেন এই বিচক্ষণ ছাত্রনেতা। এর মাধ্যমে তিনি নানামুখী প্রচারনামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। যা পরবর্তীতে স্থানীয় তরুণ সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং সাবের হোসেন চৌধুরী কর্তৃক দারুনভাবে প্রশংসিত হন। এরপর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে দেশে ফিরেই উচ্চতর শিক্ষার জন্য মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ কোর্সে ভর্তি হন। সক্রিয় হন সবুজবাগ থানা ছাত্রলীগের রাজনীতে। সাথে সাথেই তার রেখে যাওয়া শত শত ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রাণ তার ডাকে ছুটে আসেন।
২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারনা ও জয়ে তার ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। করোনা মহামারী ও ডেঙ্গু মোকাবিলায় সবুজবাগে তিনি ছাত্রলীগের একজন বীর যোদ্ধা হিসেবে ইতোমধ্যেই সকলের মন জয় করেছেন।
ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ এর অনুসারী এই ছাত্রনেতা নিজের ও পরিবারের সকলের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সবুজবাগে গত মার্চ থেকে আজ অবধি মানুষের সেবায় নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ সাতমাস যাবত একটানা তিনি তার নিজস্ব ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সহায়তার কর্মহীন অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য, বস্ত্র, ঔষধ ও স্বাস্থসুরক্ষা সামগ্রীসহ নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন।
এদিকে তার নিজের প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য দুইটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন “রাজারবাগ শান্তিসংঘ” ও “পরিবর্তন” সবুজবাগের সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। চারিদিকে যখন ছাত্র রাজনীতি নিয়ে নানা প্রশ্ন তখন এমন একজন মোঃ মেহেদী হাসান শাকিল সত্যিই জনমনে অনেক আশার সঞ্চার করে। প্রতিটি জায়গায় এই সকল ছাত্রনেতাদের নেতৃত্ব সমাজের অবক্ষয় রোধে বিশাল ভূমিকা রাখবে।