তীব্র গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চল। গত পাঁচদিন যাবত চলছে এই অবস্থা। কোথাও কোথাও দু’এক পশলা বৃষ্টিপাত হলেও গরমের তীব্রতা থেকে রেহাই মেলেনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বর্ষাকালে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকলেও গত চার-পাঁচদিন মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় আছে। ফলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে কম। এর ফলে গরম বেড়েছে বেশি।
মি. রহমান বলেন, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘু চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য দক্ষিণ দিক থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এছাড়া বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা বেশি বেশি হলে সেটি সূর্যের তাপমাত্রাকে ধরে রাখে। ফলে গরম বেশি অনুভূত হয় বলে জানান মি. রহমান।
প্রচণ্ড গরমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ অস্থির হয়ে উঠেছে। বৃষ্টির প্রতীক্ষায় দিন কাটছে তাদের। টাঙ্গাইল থেকে মাহফুজ ভুঁইয়া বিবিসি বাংলার ফেসবুকে পেজে মন্তব্য করেছেন, ” টাঙ্গাইলে প্রচণ্ড গরম অনুভব হচ্ছে। এই অবস্থা আর কতদিন চলবে? দয়া করে বলবেন কী?”
রংপুর থেকে এমজি রহমান লিখেছেন, ” গতকাল দিনে এবং রাতে ছিল প্রচণ্ড গরম। এটা সহ্য করার মতো না। আজ গরম আরো বেশি। ”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল এবং সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
সকাল নয়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর যে তথ্য প্রকাশ করেছে সে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর এবং সিলেট হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এর ফলে পুরো দেশে তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বরিশালে এরই মধ্যে গতরাত থেকে বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারে। এরই মধ্যে সকালে রাজধানী ঢাকায়ও বৃষ্টি হয়েছে।