নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে সরিষার আবাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি মৌ চাষ শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ মৌ চাষে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষকদের। ইতিমধ্যে উপজেলায় ৫ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ ও বিনামুল্যে মৌ-চাষের আধুনিক সরঞ্জামাদি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মৌ চাষে সফল হয়েছে। সফল কৃষকদের দেখে আরও অনেকেই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং প্রস্তুতি নিচ্ছেন মৌ চাষের। কৃষি অফিস বলছে সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ চাষ করা হলে সরিষার ফলন ১৫ থেকে ২০ ভাগ বৃদ্ধি হয়।
উপজেলার রঘুনাথপুর (মালতলা) গ্রামের কৃষক মোঃ সেকেন্দার আলী জানান- তিনি একজন সরিষা চাষী। কৃষি অফিস থেকে তাকে উচ্চ ফলনশীল বারি ১৪ জাতের সরিষার প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। সরিষার ভাল ফলন পেতে সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ চাষ করলে মৌমাছি সরিষার ফুল থেকে মধু আহরণ করে এবং সরিষার ফুলে পরাগায়নে সাহায্য করে। ফলে সরিষার ফলন ভাল হয়। এমন প্রত্যাশায় তিনি কৃষি অফিসের সহযোগিতায় মৌ চাষের প্রশিক্ষন গ্রহন করেন সেকেন্দার আলী। প্রশিক্ষণ শেষে স্বল্প পরিসরে তিনি ৪টি মৌচাক ও ১ টি বাক্স নিয়ে মৌ চাষ শুরু করেন ।
গত মৌসুমে তিনি প্রায় ১৩ কেজি মধু আহরন করেছেন। প্রতি কেজি মধু ৩শ টাকায় বিক্রয়ও করেছেন। বাড়ী থেকেই ক্রেতারা মধু কিনে নিয়ে যায়। তার এই সাফল্যে ইতিমধ্যে তার গ্রামের প্রায় ৭ জন কৃষক মৌ চাষের প্রশিক্ষন গ্রহন করেছে এবং তারাও মৌ চাষের প্রস্তুতি গ্রহন করছেন। সেকেন্দার আলীর বর্তমানে ২টি বাক্স রয়েছে। তিনি ১০টি বাক্সে মৌচাষের পরিকল্পনা করছেন। অপর দিকে চলতি মৌসুমে মৌচাষের জন্য তার জমিতে সরিষার ফলনও ভাল হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান- সরিষা ক্ষেতের ফলন বৃদ্ধি করতে সরিষা চাষের পাশপাশি কৃষকদের আমরা মৌ চাষে প্রশিক্ষন এবং মৌচাষে বিনামুল্যে আধুনিক সরঞ্জামাদী প্রদান করেছি। ইতিমধ্যে মৌচাষে কিছু কৃষক সাফল্য অর্জন করেছে। তাদের দেখে আরও অনেকেই মৌ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। সরিষা ও মৌচাষে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
সরিষা চাষীদের সরিষার পাশপাশি মৌ চাষে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করা ও সরকারি ভাবে মৌচাষে আরও বেশি প্রনোদনা প্রদান করা হলে সরিষার ফলন বৃদ্ধির পাশাপাশি মৌ চাষ থেকে বাড়তী আয় করে অধিক লাভবান হবেন কৃষরা এমনটি প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।