নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বৃহস্পতিবার বিকেলে মেইলে কিট পরীক্ষার রিপোর্ট দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। আর এই রিপোর্টের মতামত নিয়ে আগামী রোববার বিএসএমএমইউ’র কারিগরি কমিটি সদস্যদের সঙ্গে বসবে গণস্বাস্থ্য।
বিএসএমএমইউ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও গণস্বাস্থ্যের কিটের প্রকল্পের কোঅর্ডিনেটর ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, আগামী রোববার বিএসএমএমইউকে আমরা অ্যান্টিজেন কিটের নমুনা সংগ্রহের ডিভাইস দেবো। ওই সময়ই আমরা উনাদের সঙ্গে বসতে পারি।
বিএসএমএমইউ’র রিপোর্টের বিষয়ে গণস্বাস্থ্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজ বিকেল ৩ টায় দিকে আমরা মেইলের মাধ্যমে রিপোর্টটা পেয়েছি। আর উনাদের সঙ্গে আমাদের ‘নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট’ একটা চুক্তি আছে। সেই চুক্তি অনুসারে আমরা রিপোর্টটা পড়বো। রিপোর্ট পড়ার পরে তাদের কারিগরি কমিটির সময় নেবো। পরে তাদের সাথে বসে আমাদের মতামত জানাবো। আর মূলত আমরা অপেক্ষায় করছি, যে মতামতটা রিপোর্টে দেয়া আছে- সেই রিপোর্ট অনুযায়ী বিএসএমএমইউ কি ব্যবস্থা নেয়।
গণস্বাস্থ্যের কিট করোনা শনাক্তে কার্যকর নয়- বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়ার এই বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, আমরা বলেছি- এটা বিজ্ঞান না যে, অ্যান্টিবডি কিট প্রথম সপ্তাহে কাজ করবে বা রোগ নির্ণয় করবে। এই কিট টা হচ্ছে অ্যান্টিবডি শনাক্ত করার জন্য। আপনার শরীরে অ্যান্টিবডি দেয়া হয়েছে কি না, সেটা দেখার দায়িত্ব এই অ্যান্টিবডি কিটের। সুতরাং রোগ শনাক্তকরণ করার কাজ তো এটার না।
তিনি বলেন, আমরা কখনো বলেনি তো… (রোগ শনাক্তকরণ)। এটা নামের মধ্যে আছে যে, এটা অ্যান্টিবডি টেস্টিং কিট। এটা বইতেই লেখা আছে। এটা তো আর আমার আবিষ্কার না।
মহিবুল্লাহ খন্দকার জানান, আমরা আরেকটা কিট নিয়ে কাজ করছি। যেটা হচ্ছে পিসিআর। যার কাজ হচ্ছে রোগ শনাক্তকরণ করা। প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তারা কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউকে চিঠি দেয়। গত ২ মে বিএসএমএমইউর কর্তৃপক্ষ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে। পরে বিএসএমএমইউতে কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য।