JAFB | Journalist Alliance Foundation of Bangladesh
অর্থনীতি রংপুর

স্কোয়াশ চাষ করে স্বাবলম্বী নবাবগঞ্জের শরিফুল

নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে স্কোয়াশ চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম। দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কোয়াশ চাষ অনেক আগে থেকে শুরু হলেও স¤প্রতি উপজেলায় এ ফসলের চাষ শুরু হয়েছে। সে উপজেলার কামালপুর গ্রামের মৃত বরিজ উদ্দিনের ছেলে ।

খেতে সুস্বাদু পুষ্টিগুণে ভরা স্কোয়াশ চাষে ফলন ও দাম দুটিই ভাল পাওয়ায় এখন লাভের মুখ দেখছেন শরিফুল। তার স্কোয়াশ চাষের সাফল্যে আগ্রহ বেড়েছে এলাকার কৃষকদের।
শরিফুল জানান, সেনাবাহিনীতে চাকরিকালে বিভিন্ন এলাকায় তিনি স্কোয়াশ চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হন। তিনি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর পরই উপজেলার খটখটিয়া কৃষ্টপুর মৌজায় তার নিজের ৩ বিঘা জমিতে স্কোয়াশ চাষ শুরু করেন এবং ভাল ফলনও হয়। বর্তমানে ফুল ও ফলে ভরে গেছে তার স্কোয়াশ ক্ষেত। এখন প্রতিদিন তার ক্ষেতের স্কোয়াশ যাচ্ছে এলাকার বিভিন্ন বাজারে।

তিনি আরো জানান, প্রথমে এলাকায় নতুন সবব্জি হিসেবে বাজারে চাহিদা ছিলনা। ক্রেতাদের বিভিন্ন ভাবে বুঝানোর মাধ্যমে তিনি বাজারে স্কোয়াশের চাহিদা সৃষ্টি করেন। এখন এলাকার বাজারে ব্যাপক চাহিদা এই সবজির। বীজ বপনের ৮০ থেকে ৮৫ দিনেই বাজারজাত করা যায় স্কোয়াশ সবজি। দেখতে অনেকটা বাঙ্গি ও উপরের রং দেখতে মিষ্টি কুমড়ার মত সবুজ। প্রায় এক ফুট লম্বা একেকটি স্কোয়াশ ২ থেকে ৩ কেজি ওজনের হয়। উপজেলার বাজারে ২০/২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এ সবজি।

চলতি মৌসুমে খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি ৪০/৫০ হাজার টাকা লাভ করার আশা করছেন তিনি। তার ক্ষেতটি বিশমুক্ত। পোকা মাকড় থেকে রক্ষা করতে ব্যবহার করেছেন ফেরোমন পদ্ধতি। এলাকার নতুন সবজি হওয়ায় প্রতিদিন তার স্কোয়াশ ক্ষেত দেখতে আসছে অনেকেই। দেখছেন এবং পরামর্শ নিচ্ছেন স্কোয়া চাষের। স্কোয়াশ চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে স্কোয়াশ চাষের। অপর দিকে কয়েকজন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে তার ক্ষেতে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান- স্কোয়াশ সবজি হিসেবে খুবই ভাল এবং ফলনও খুব ভাল হয়। স্কোয়াশ চাষ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।

উপজেলার মাটি ও আবওয়া স্কোয়াশ চাষের অনুকুলে হওয়ায় অর্থকরি ফসল হিসেবে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে স্কোয়াশ চাষের। সরকারিভাবে উপজেলার কৃষকদের স্কোয়াশ চাষে আরও বেশি বেশি উদ্বুদ্ধ করা ও সহযোগিতা করা হলে লাভবান হবেন উপজেলার কৃষকরা এমনটি প্রত্যাশায় সচেতন মহলের।

এই সংক্রান্ত আরও খবর

কমেছে চিনির দাম, স্বস্তি সবজি বাজারে

Shahadat Hossen

এ বছরের প্রথম ৬ মাসে ১৮ হাজার কোটি টাকার তেল কিনছে সরকার

Shahadat Hossen

কৃষিপণ্যের মর্যাদা পেল পাট

Shahadat Hossen

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসায় জো বাইডেন

Shahadat Hossen

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ

Shahadat Hossen

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল থাকবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

Shahadat Hossen