নিউজ ডেস্ক:
দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন ৪ জনকে আটক করেছে র্যাব ও পুলিশ। শুক্রবার ভোরে সন্দেহভাজন প্রধান আসামী আসাদুল হককে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্তের চুড়িপট্টি এলাকা থেকে আটক করে র্যাব। তার বাড়ি ঘোড়ঘাট উপজেলার ৪ নং ঘোড়াঘাট ইউপির সাগরপুর গ্রামে।
এর আগে ঘোড়াঘাট থেকে জাহাঙ্গীর ও মাসুদ রানা নামে আরও দু’জনকে আটক করে আইনশৃংখলা বাহিনী। জাহাঙ্গীর ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এবং মাসুদ ঘোড়াঘাট সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা। এছাড়া বৃহস্পতিবার দিনাজপুর ডিবি গোয়েন্দা পুলিশ ইউএনওর বাসভবনের নৈশ প্রহরী পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদ ফেরদৌস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং র্যাব রংপুরের একটি দল যৌথভাবে শুক্রবার ভোররাত ৪টা ৫০মিনিটে হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসাদুল ইসলামকে আটক করে।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। নিউরোসার্জন জাহেদ হোসেন জানিয়েছেন, অপারেশনের সময় তার মুখমণ্ডলে ৯টি আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তা ঠিক করা হয়েছে। আপাতত তিনি আশংকামুক্ত। তবে ৭২ ঘন্টা পর ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলা বলা যাবে।
এ ঘটনায় দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা ইউএনও ওয়াহিদা খানম এবং তার মুক্তিযোদ্ধা বাবার ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা হাতুড়িসহ বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে তাদের মারাত্মক জখম করে।
এই ঘটনায় বোনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা দুইজনকে আসামি করে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেছেন ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ।
২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর কর্মস্থলে যোগ দেয়ার পর থেকেই মাদক, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংএর বিরুদ্ধে কাজ করে সর্বমহলে প্রশংসিত হন ওয়াহিদা খানম।