JAFB | Journalist Alliance Foundation of Bangladesh
Uncategorized

কারাগারে খালেদা জিয়ার দুই বছর

বজ্রশক্তি ডেস্ক:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবন্দি আজ দুই বছর পূর্ণ হলো। দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে দুই দিনের কর্মসূচি (মসজিদে দোয়া মাহফিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ) ঘোষণা করেছে বিএনপি। এছাড়া বেগম জিয়ার দ্বিতীয় কারা বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলো পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করেছে।

তবে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলের এই কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি।

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়া মুক্তি সম্ভব নয়। বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে রাজপথে নামতে হবে।

তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপি নীতি নির্ধারকরাও মানছেন যে, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। এজন্য নতুন রূপে আন্দোলন ও সংগ্রাম করার কথা ভাবছেন তারা। এবিষয়টি স্বীকার করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনকে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা কি করবো? সেই আন্দোলনকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে, যাতে বেগম জিয়া এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে পারি। তার জন্য বিভিন্ন সময় আমরা কর্মসূচি দিয়েছি এবং নির্বাচনও করেছি। তবে এর কোনটাই আজ পর্যন্ত কাজে আসে নাই। সুতরাং আগামীর জন্য আমাদেরকে ভাবতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি কিছুই করছে না। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য কি করা দরকার- এনিয়ে বহু আলোচনা করছি। কিন্তু আসলে কিছুই করছি না। কি করা দরকার, এবিষয়ে কারো বুদ্ধির অভাব নেই। তবে সেই বুদ্ধির কাজটা করার মতো কোন উদ্যোগ নাই!

এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর চিঠিও দিয়েছে বিএনপি। অনুমতির বিষয়ে দলটি বলছে যে, সমাবেশের মৌখিক অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু পুলিশ বলছে, তারা এবিষয়ে কিছু জানে না।

গত দুই বছরে বেগম জিয়ার মুক্তির কর্মসূচির মধ্যে ছিল, বিভাগীয় সমাবেশ, প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ও অনশন, গণস্বাক্ষর, জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, কালো পতাকা প্রদর্শন, লিফলেট বিতরণ, জনসভা, আলোচনা সভা এবং প্রতিবাদ মিছিলও করছে। এমনকি ঢাকা নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদেরকে ব্রিফও করেছে দলটি। এর মধ্যে কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি পুলিশ পণ্ড করে দেয়। আর ঢাকায় একটি জনসভার জন্য চারবার অনুমতি চেয়েও পায়নি দলটি।

এদিকে ২০১৮ সালের ২০ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ সব মামলায় দেশি আইনজীবীদের সহায়তা করতে ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইল নিয়োগ দেয় বিএনপি। এখানেও দলটির নীতি নির্ধারকরা ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করেন দলটির তৃণমূলের নেতারা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। পরে এই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিএনপি চেয়ারপারসন ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেয়া। এরপর থেকে তিনি কেবিন ব্লকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

খালেদা জিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বেগম জিয়া হাসপাতালে চুপচাপই থাকেন। ইবাদত বন্দেগির পাশাপাশি বই ও পত্রিকা পড়ে সময় কাটান তিনি। এছাড়া গৃহকর্মী ফাতেমাসহ সেখানে দায়িত্বরত কারা মহিলা স্টাফদের সাথেও আলাপচারিতায় সময় কাটান তিনি।

এই সংক্রান্ত আরও খবর

২৩ কেজি ওজনের এক মাছের দাম ৮ লাখ টাকা!

Shahadat Hossen

নোয়াখালীতে শীতার্তদের ব্যতিক্রমী উপহার ও শীতবস্ত্র বিতরণ

Shahadat Hossen

পুলিশ পরিদর্শক থেকে বিসিএস ক্যাডারের এএসপি হলেন ৪০ জন

Shahadat Hossen

রাঙ্গুনিয়ায় বড় ভাইকে না পেয়ে ছোট ভাইকে হত্যা

Shahadat Hossen

নোয়াখালীতে ‘হাসেম উৎসব’ উদ্বোধন

Shahadat Hossen

গাইবান্ধায় ১৯ কেজি গাঁজা ও প্রাইভেটকার আটক

Shahadat Hossen