নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার জরুরি ভিত্তিতে পরিদর্শন করবে সরকার। এজন্য ইতোমধ্যে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর তালিকা চাওয়া হয়েছে। বুধবার (১১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, আশা করছি এ মাসের মধ্যেই পরিদর্শন শুরু করতে পারব। দেশে এমন অনেক হাসপাতাল রয়েছে যার লাইসেন্স নেই। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে অনুমোদিত এবং অননুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর তালিকা প্রস্তুত হবে। গত পরশু ইমার্জেন্সি মিটিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রত্যেক বিভাগীয় পরিচালকগণকে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে।
সারাদেশে লাইসেন্সসহ মোট ৬ হাজার ৬৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে হাসপাতাল ২ হাজার ১৩০টি, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩ হাজার ৮৫৬টি, ব্লাড ব্যাংক ৮১টি।
গত ৯ অক্টোবর হাসপাতালের কর্মীদের ধস্তাধস্তিতে মারা যাওয়া সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিমের বিষয়ে এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, যেকোনো মৃত্যু দুঃখজনক, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত, অনুতপ্ত।
তিনি বলেন, হাসপাতাল নামে যেটা চলছিল সেটার কোনো অনুমোদন ছিল না। মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক চিকিৎসা আলাদা জিনিস, আবার অনেক ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত। তারা বলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন ছিল, কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন ছিল না। কিন্তু মানসিক চিকিৎসা করতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বন্ধ করে দিয়েছি।
অননুমোদিত হাসপাতালে এরকম মৃত্যু বন্ধের ব্যাপারে মহাপরিচালক বলেন, সবগুলো পরিদর্শন করতে আমরা একটা জরুরি মিটিং করেছি। প্রত্যেক এলাকার সিভিল সার্জনদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, সঙ্গে প্রশাসন। কারণ, আমরা একা এটা করতে পারব না, এটার সঙ্গে প্রশাসন লাগবে, পুলিশের সাহায্য লাগবে, আইন প্রয়োগকারী ম্যাজিস্ট্রেটের সাহায্য লাগবে। তাদেরকে নিয়ে আমরা এটা করতে পারব। আশা করছি এ মাসের মধ্যেই পরিদর্শন শুরু করতে পারব।