তেঁতুলিয়া প্রতিনিধি:
‘রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলি, অটিজম শিশুদের স্কুলে ভর্তি করি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তেঁতুলিয়ায় অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজএ্যাবিলিটিজ (এনডিটি) বিষয়ক দিনব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ডাকবাংলোর পিকনিক কর্ণারে বেরং কমপ্লেক্সের হলরুমে মাধমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজএ্যাবিলিজ (ঘঅঅঘউ) এর আয়োজনে এ ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার সাহেব আলীর বিশ্বাসের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত এ অটিজম ওয়ার্কসপে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী, সুলতানা রাজিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পারভীন আক্তার বানু, আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মন্ডল প্রমুখ। কর্মশালার প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ রুকুনুজ্জামান ও পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক আব্দুর রহিম।
দিনব্যাপী ওয়ার্কসপে বক্তারা বলেন, অটিজম কোনো মানসিক রোগ নয়, মস্তিস্ক একটি বিকাশগত সমস্যা। যেটা একটি শিশুর তিন বছরের মধ্যেই প্রকাশ পায়। মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অটিস্টিক হবার সম্ভাবনা বেশি বলে তাদের অভিমত। অটিজম আক্রান্ত শিশুরা অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বয়সের তুলনায় পিছিয়ে থাকে। একই ধরনের আচার-আচরণ তারা বারবার করে। অটিজমের অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে বংশগত সমস্যা।
তারা আরো জানান, অটিজম চিকিৎসায় ওষুধের কোনো ভূমিকা নেই। এর জন্য প্রয়োজন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। তবে প্রতিটি অটিস্টিক শিশুই আলাদা হওয়ায় তাদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারটি একজনের চেয়ে আরেক জনেরটা আলাদা। যত আগে অটিজমের বিষয়টা উপলব্ধি করে চিকিৎসা শুরু করা যায় ততই ভালো। সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে প্রতিটি অটিস্টিক শিশুই উন্নতি করে। এমনকি অনেকে সাধারণ স্কুলে যাওয়ার মতোও হয়ে ওঠে।
অটিজম আক্রান্তদের অধিকার না দেয়ার অর্থ মানবাধিকার লঙ্ঘন। তারাও মেধাবী। তাদের মেধা ও শ্রমকে সব কর্মকান্ডে ব্যবহারের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়াও অটিজমের উপর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয় কর্মশালায়।
উক্ত ওয়ার্কশপে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, স্কুল-মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সাংবাদিকবৃন্দ। পরে ওয়ার্কশপ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অটিজম বিষয়ে বিভিন্ন মতামত গ্রহণ করা হয়।