নিউজ ডেস্ক:
ঢাকার শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে এক লঞ্চের ধাক্কায় আরেকটি ছোট লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর ২৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এ দুর্ঘটনার পর তাদের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রোজিনা ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের পাশাপাশি নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড সদস্যরাও সেখানে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিএ এর পরিবহন পরিদর্শক মো. সেলিম জানান, মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটের দিকে আসছিল এমভি মর্নিং বার্ড। শ্যামবাজারের কাছে নদীতে চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূরী-২ লঞ্চের ধাক্কায় সেটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়।
মর্নিং বার্ড নামের ওই লঞ্চে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও অনেকেই ভেতরে আটকা পড়েন।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রোজিনা ইসলাম জানান, যে ২৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৮ পুরুর, ৭ নারী এবং তিনজন শিশু।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কারও নাম পরিচয় জানা যায়নি। ঠিক কতজন যাত্রী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন, তাও স্পষ্ট নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূরী-২ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে লালকুঠী ঘাটে যাত্রী নামিয়ে সদরঘাটের চাঁদপুর ঘাটে গিয়ে নোঙ্গর করার জন্য ব্যাক গিয়ারে ঘুরছিল। ওই সময় পেছনে নদীতে থাকা এমভি মর্নিং বার্ডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার কাছাকাছি এলাকায় নদীর মাঝখানে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি শনাক্ত করা হয়েছে। ভেতরে আর কারও লাশ আছে কি না, তা তল্লাশি করে দেখা হবে।
তল্লাশি শেষ হলে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী নৌযান ডুবে যাওয়া লঞ্চটি টেনে তুলে সরিয়ে নেবে।