সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জাতীয় পার্টির অনেক নেতাকর্মী ঘর ছাড়া হয়েছে। অনেকের বাড়িতে এখন পুরুষ বলতে কেউ নেই।
এদিকে মুজিব শতবর্ষের ক্ষণগণনার কাউন-ডাউন সচল ডিজিটাল ঘড়ি ভাংচুর ও জাতীর জনকের সাঁটানো ছবিতে আঘাত করার অপরাধে দায়েরকৃত মামলার সকল আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এলাকাবাসী অতিসত্ত্বর প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার আহবান জানান। তারা আরও জানান যত তাড়াতাড়ি অপরাধী গ্রেফতার হবে, তত তাড়াতাড়ি এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে।
উল্লেখ্য গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার উপজেলা জাতীয় পার্টির পুরুষ ও মহিলা নেতাকর্মীরা ঝাড়ু ও লাঠি মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনের গেটে সাঁটানো মুজিব শতবর্ষের ক্ষণ গণনার কাউন-ডাউন সচল ডিজিটাল ঘড়ি ভাংচুর করে এবং জাতীর জনকের ছবিতে আঘাত করে।
এ ঘটনায় জাতীয় পার্টির ১০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাত করে থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা আড়ালে আবডালে থাকছেন। তাদেরকে পলাতকও বলা যাচ্ছে না,আবার দেখাও মিলছে না।
ভাংচুরের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ মোঃ ফেরদৌস হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনা মেশিন ভাংচুর করায় গোটা দেশের কাছে এ উপজেলাবাসিকে কলঙ্কময় জাতি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি মন্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার দায়ে ইতোমধ্যেই আদালত জাপার সাবেক এমপি কর্নেল (অবঃ) ডাঃ আব্দুল কাদের খানসহ ৭ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। সে কলঙ্ক মুছতে না মুছতেই জাতির জনকের শত বর্ষ উদযাপনের ক্ষণ গণনার মেশিন ভাংচুরের ঘটনা এলাকাবাসিকে ভাবিয়ে তুলেছে।
নদী বঁচাও দেশ বাঁচাও আন্দোলনের নেতা ছাদেকুল ইসলাম দুলাল বলেন, মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনার মেশিন যারা ভাংচুর করেছে তারা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ করেনি।
উপজেলা জাতীয সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি মুসলিম আলী মাস্টার বলেন, মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনা মেশিন ভাংচুর করা চরম অপরাধ হয়েছে। থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান জানান,মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনার মেশিন ভাংচুর মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।